ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণ, পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

নিউজ ডেস্ক ::  চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযোগের বিষয়ে পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এর বেশি কিছু বলার নাই।

গত আগস্টের শুরুতে এক তরুণী পুলিশ সদর দপ্তরে ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

################

পল্টন থানার ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
 অনলাইন ডেস্ক ::

চাকরি দেওয়ার কথা এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সদর দপ্তরে ওই নারী অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে একটি ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। চেতনা ফেরার ওপর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা বলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধর্ষণ করেছেন তাকে।

তিনি লিখেছেন, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।

আর কোনো উপায় না দেখে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে লিখেছেন ওই নারী।

গত আগস্টের শুরুতে ওই নারী পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোনালিসা গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবে।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

পাঠকের মতামত: